গত সপ্তাহের বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীর জহুরি মহল্লায় ছায়াতলের প্রধান কার্যালয়ে যেতেই কমলা রঙের জামা পরা একদল শিশু এসে হাজির সামনে। সালাম বিনিময় অতপর হ্যান্ডশেক করে নিয়ে গেল শ্রেণি কক্ষে। সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান সোহেল রানা এবং শিক্ষিকা মেহেবুবা আক্তার সিতু।
প্রায় প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে কোমলমতি শিশুরা প্রাণখোলা আনন্দে গল্পে গল্পে নিজেদের নাম পরিচয় জানালো। একইসঙ্গে এই প্রতিবেদেকের পরিচয় জানতেও তারা ভুল করেনি। তাদের মুখের হাসি আর আনন্দ বলে দিচ্ছিল তারা বিদ্যালয়ে পড়ে ভীষণ খুশি।
প্রথম শ্রেণির সাকিবুল আর সোনিয়া বলছিল তারা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। মানবতার সেবায় নিজেদের সমর্পণ করতে চায়। তাদের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণির সম্রাট, সানজিদ, মিম কিংবা পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির মিতু, আয়েশা, জাকিয়া, সুলতানারাও স্বপ্ন দেখছে আগামী দিনে নিজেদের সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো অফিসের উচ্চ পদে আসীন হয়ে দেশের সেবা করবে। মানুষের সেবা করবে।
তাদের সবার চোখে মুখেই যেন ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নেও আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। ছায়াতলে যারা পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছে এবং তুমুল উৎসাহ নিয়ে পড়ালেখা করছে তাদের মধ্যে যারা মেয়ে তাদের বেশির ভাগই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ, অষ্টম শ্রেণির পর পরই তাদের মায়েরা দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চায়। অনেক চেষ্টা করেও সেটা রোধ করা যাচ্ছে না।

